ভদ্রলোক ফ্লার্টিংকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। প্রায়ই দুষ্টুমি করেন। প্রথম প্রথম চিন্তা হত – উনি কি সিরিয়াসলি বলছেন? পরে বুঝে গেলাম ঘায়েল করতে হলে আমাকেও ফিরতি আঘাত করতে হবে- তাহলে উনি থেমে যাবেন।
সেদিন বললেন, কক্সবাজার যাই চলো। আমি ভয় না পেয়ে বললাম, “চলেন, যাই!” এই কল্পনাতীত জবাব শুনে উনি একটু থমকে গেলেন। তারপরই হেসে বললেন, “না, থাক!”
সেদিন আমাকে একটা কাজ দিলেন। শেষ করে জানালাম। উনি বললেন, ঈদে বেড়ালে কোথায় কোথায়?” বললাম, “বেড়াবে কী করে? আপনি তো ডাকলেন না! আপনি ডাকলে ঠিকই যেতাম!”
“এই শোনো, আজেবাজে কথা বোলো না! ডাকলে যে তুমি আসতে না, সেটা খুব ভালো করে জানি!”
ভারি আশ্চর্য লাগল শুনে। আমার বন্ধুস্থানীয় মানুষগুলোর বহুদিন লেগে যায় এই কথাটা বুঝতে। উনি এত দ্রুত বুঝে গেলেন?
উনি মনের কথা বুঝতে পেরেই ও পাশ থেকে বলে উঠলেন, ” আমি মানুষ চরিয়ে খাই।”
আসলেই। একদিকে উনি ভীষণ পেশাদার, অন্যদিকে ভারি স্নেহশীল। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান উনি এবং অত্যন্ত শক্তহাতে সবটা সামলাচ্ছেন।
উনি একজন তারকা ব্যক্তিত্ব। সেকারণেই তার নামটা লিখবো না এখানে।
এই কাজপাগল লোকটার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমার।