দুপুর থেকে মুখিয়ে আছি মুরগি রাঁধব বলে। বাসায় এসে ডিপফ্রিজে রাখা নানান প্যাকেটের ভিড় থেকে খুঁজে খুঁজে মুরগির প্যাকেটটা বের করলাম। মনটা খুশি। বুদ্ধি করে কলেজের রাঁধুনিকে দিয়ে মুরগিটা কাটিয়ে নিয়েছিলাম। রাঁধুনিই বাজার করেছিল, রাঁধুনিই কেটেছিল। মুরগিটাকে আমি চোখে দেখি নি। চেখে দেখাটাই ছিল লক্ষ্য। তবে প্যাকেটে মাংসের টুকরোগুলো বেশিই বড় মনে হচ্ছিল। নাহ্! রীনা নিশ্চয়ই ফার্মের মুরগি কিনেছে। ওকে এরপর থেকে দেশি মুরগি আনতে বলে দেব। পানির মধ্যে পলিথিনে মোড়া মুরগি ডুবিয়ে রেখে আমি আপুকূলের মুরগি রান্নার ভিডিও দেখতে বসলাম। একটা ভিডিও মুখস্থ করে রান্নাঘরে ফিরলাম। ও মোর খোদা! মুরগি তো দেখি গরু হইয়ে গ্যাছে! শুধুমাত্র পানির সংস্পর্শে এসে জমাটবাঁধা মুরগির মাংস গরুর টুকরো হয়ে যেতে পারে! ডারউইন, কোথায় আছো, একবার এসে এই বিবর্তনের ব্যাখ্যা দিয়ে যাও! যাহোক, আমি নব উদ্যমে গরুর মাংসের রেসিপি সার্চ দিলাম। বিধি বাম। ইন্টারনেট নেই। ডাটা কানেকশন দুব্বল! এই ছিরিনগরে এই মুহূর্তে আমি আর একপাত্র কাঁচা গরুর মাংস- অপার হয়ে বসে আছি। মনে পড়ে গেল সেই হতভাগ্য ছাত্রের কথা যে কীনা গরু রচনা পড়ে গিয়েছিল আর পরীক্ষায় এসেছিল শ্মশানঘাটের বর্ণনা। শেষমেশ বেচারি শ্মশানে গরু বেঁধে গরুর বর্ণনা লিখতে আরম্ভ করেছিল। লোকেশন শ্মশান, বর্ণনা গরুর। আজ আমারও সেই দশা। কড়াইয়ে গরু, রেসিপি মুরগির… 🙄